Header Ads

Shumaya Shimu - সুমাইয়া শিমু

সুমাইয়া শিমু বাংলা নাট্যাঙ্গনের এক উজ্জ্বল অভিনেত্রীর নাম। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই অঙ্গনে স্বমহিমায় বিচরণ করছেন। অভিনয়টা মূলত তার শখ ছিল। শখ থেকেই আস্তে আস্তে অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মাতে শুরু করে। সেই থেকে অভিনয় তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়। ৩০ এপ্রিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। কাকতালীয়ভাবে ২৯ এপ্রিল তার বাবার জন্মদিন এবং ৩০ এপ্রিল তার বড় বোনের বিয়ে বার্ষিকী।

পড়াশোনা:
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে বর্তমানে তিনি নাট্যকলা বিভাগে “অভিনয়ে নারীর শৈল্পিক ও আর্থ সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত” বিষয়ে পিএইচডি করছেন। 
অভিনয় জীবন: 
“স্বপ্নচূড়া” নাটকের মাধ্যমে সুমাইয়া শিমু দর্শক মহলে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন। এছাড়া “ললিতা” নামের ধারাবাহিকটির মাধ্যমেও তিনি দর্শক হৃদয়ে দাগ কাটতে সক্ষম হন। ‘স্বপ্নচূড়া’, ‘হাসউফুল’, ‘এফএনএফ’, ‘ললিতা’ প্রভৃতি ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি অসংখ্য একক নাটকে সুমাইয়া শিমু অভিনয় করেন। সুমাইয়া শিমুর নিজেরও ধারাবাহিক নাটকের চেয়ে একক নাটকে অভিনয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। নিজের অভিনয় সম্পর্কে সুমাইয়া শিমুর অভিব্যক্তি অনেকটা এরকম। তার মতে অভিনয় জিনিসটা চর্চার বিষয়। চর্চা ছাড়া জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয় না। 
বিয়ে প্রসঙ্গ:
পরিবারের ছোট মেয়ে সুমাইয়া শিমু। বড় বোন ও ভাইদের ইতিমধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। এবার সুমাইয়া শিমুর বিয়ের পালা। তবে এ বিষয়ে সুমাইয়া শিমুর অভিমত অনেকটা এরকম “বিয়ে তো সারাজীবনের ব্যাপার, তাই এককভাবে সিদ্ধান্তটি নিতে চাই না। পরিবারের উপর নির্ভর করতে চাই। খুব শিগগিরই বিয়ে না করলেও এটুকু বলতে পারি, সবাইকে জানিয়েই সম্পূর্ণ পারিবারিক সম্মতি নিয়েই আমি বিয়ে করব”।




ফেসবুকে সুমাইয়া শিমু:
সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে সুমাইয়া শিমুর বেশ কিছু ফ্যান পেজ রয়েছে। তার মধ্যে "Summaya Shimu" নামের এই পেজটি বেশ জনপ্রিয়। এই পেজটির বর্তমান ফ্যান সংখ্যা ৮০ হাজারের কাছাকাছি। (২৮ এপ্রিল, ২০১৩)
  
জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি ম্যাগাজিন পত্রিকায় সুমাইয়া শিমুর একটি সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো:
আনন্দ আলো: ৩০ এপ্রিল আপনার জন্মদিন। ওই দিনটা কীভাবে পালন করেন?        

সুমাইয়া শিমু: প্রতি বছরই আমার জন্মদিন পালন করা হয়। ওই দিনটায় আমি কোনো শুটিং রাখি না। বাসায় থাকি। পরিবারের সদস্যদের নিয়েই আমার জন্মদিন পালন করে থাকি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে। অবশ্য আগের দিন রাত ১২টা জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। কেক কাটা হয়। বাসায় ভালো ভালো রান্না-বান্না করা হয়। পরিবারের সবাই মিলে খুব মজা করি। আবার অনেক সময় দেখা যায় বাইরে অন্য কোনো জায়গায় ছোট পার্টি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমার জন্মদিন পালন করে থাকি।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

সুমাইয়া শিমু: পার্থক্য তেমন দেখি না। ছোটবেলার জন্মদিন অনেক মজার, আনন্দের ছিল। এখনো তাই আছে। সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আম্মু প্রতিবছরই জন্মদিনে কেক তৈরি করেন। এটা আমার জন্য বড় একটা স্পেশাল ডে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা বাসায় আসত। সবাই মিলে আমরা খুব মজা করতাম। এখনকার জন্মদিন আগের মতো পরিবারের সদস্যরাই পালন করে থাকে। ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে পার্থক্য তেমন দেখি না।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

সুমাইয়া শিমু: মা-বাবা, ভাই-বোন, ভাবী, ভাগনা-ভাগনিরা সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। এরপর আত্মীয়-স্বজন, কাছের বন্ধু-বান্ধব, ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। শুধু আগের দিন রাত ১২টার সময় যে জন্মদিনে উইশ করে তা না সারাদিনই উইশ করে। এই বিষয়টা আমার খুবই ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?


সুমাইয়া শিমু: উপহার তো উপহারই। যেকোনো ধরনের উপহার পেতে আমার ভালো লাগে। মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার।

Powered by Blogger.