Anju ghosh - অঞ্জু ঘোষ
চলচ্চিত্রে আগমন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার
হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গানও গাইতেন। ১৯৮২ সালে এফ কবীর
চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এই
ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। দর্শক অবাক বিস্ময়ে তাঁর অশালীন অঙ্গভঙ্গি
এবং উম্মাতাল নৃত্য উপভোগ করেন। তিনি বাংলার নীলো নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি
রাতারাতি তারকা বনে যান। অনেকের মতে অঞ্জুর সাফল্য ছিল ভিত্তিহীন মৌলিক
সাফল্য। অঞ্জু বাণিজ্যিক ছবির তারকা হিসেবে যতটা সফল ছিলেন সামাজিক ছবিতে
ততটাই ব্যর্থ হন। ১৯৮৬ সালে তাঁর ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তিনি
ফিরে আসেন ভালোভাবে। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি সিনেমাতে অভিনয় করেন
মন্দার সময়ে যেগুলো ছিল সফল ছবি। তাঁর অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’
অবিশ্বাস্য রকমের ব্যবসা করে এবং সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। তিনি
সুঅভিনেত্রীও ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনের আগমনে শাবনাজদের মতো নায়িকাদের দাপটে তিনি ব্যর্থ হতে থাকেন। তিনি এই দেশ ছেড়ে চলে যান এবং কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন। বর্তমানে তিনি ভারতে বিশ্বভারতী অপেরায় যাত্রাপালায় অভিনয় করছেন।
উল্লেখযোগ্য সিনেমা
- সওদাগর
- নরম গরম
- আবে হায়াত
- রাজ সিংহাসন
- পদ্মাবতী
- রাই বিনোদিনী
- সোনাই বন্ধু
- বেদের মেয়ে জোছনা
- আয়না বিবির পালা
- বড় ভালো লোক ছিল
- আশা -নিরাশা
- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা
- মালা বদল
- আশীর্বাদ
সেরা সাফল্য
বেদের মেয়ে জোছনা একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ১৯৮৯ সালে মুক্তি লাভ করে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল ছায়াছবি। মূল ভূমিকায়
অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ এবং ইলিয়াস কাঞ্চন। ছবির একটি গান বেদের মেয়ে
জোছনা আমায় কথা দিয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। চলচ্চিত্রটি ভারতের
পশ্চিমবঙ্গেও পুননির্মাণ করে মুক্তি দেওয়া হয়। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন
অঞ্জু ঘোষ এবং চিরঞ্জীত। চলচ্চিত্রটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বাধিক
বাণিজ্যসফল সিনেমা।
পুরস্কার ও সম্মাননা
অঞ্জু ঘোষ অভিনীত বেদের মেয়ে জোছনা ও বড় ভালো লোক ছিল এই দুটি চলচ্চিত্র
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অন্যান্য আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়