Unspecified inflammation of the urinary - অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ
পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যা
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে নন-স্পেসিফিক ইউরেথ্রাইটিস। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মূত্রনালীতে প্রদাহ হয় অথবা মূত্রনালী ফুলে যায়। যেসব পুরুষ যত্রতত্র যৌন ক্রিয়া করে এবং যে পুরুষের একাধিক যৌন সঙ্গিনী রয়েছে তাদের এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের কারণ কী?
কিছু জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অথবা ছত্রাক দ্বারা অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লামাইডিয়া মাইকোপ্লাজমা এবং হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস। একই সময়ে একাধিক জীবাণু আপনার মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে আপনি এ সংক্রমণে সংক্রমিত হতে পারেন। যৌন সঙ্গমকে তখনই অরক্ষিত বলা হয় যখন কনডম ব্যবহার করা হয় না। আপনার যৌন সঙ্গিনীর গোসলের সাবান, শুক্রনাশক পদার্থ এবং যোনির রাসায়নিক উপাদানের দ্বারাও আপনার মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে। এসব দ্রব্য আপনার মূত্রনালীতে ঢুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং মূত্রনালী ফুলে যায়। কোনো বস্তু দ্বারা আঘাত অথবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে অথবা চিকিৎসাজনিত অবস্থা যেমন স্টিভেনস-জনসন সিনড্রোম মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে।
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের উপসর্গগুলো কী?
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহে অনেক সময় আপনার কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে, অথবা আপনার নিচের যেকোনো উপসর্গ থাকতে পারেঃ
সাধারণের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাবের অনুভূতি হওয়া। জ্বর, পেটে ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া করা, লিঙ্গে ব্যথা অথবা চুলকানি, যৌন সঙ্গমের সময় ব্যথা করা, লিঙ্গ দিয়ে পাতলা ও সামান্য ঘোলা অথবা হলুদ-সবুজ রস নিঃসৃত হওয়া।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ নির্ণয় করা হয়?
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন। আপনার যৌন সঙ্গিনীর ব্যাপারেও জানতে চাইতে পারেন। আপনার যৌন ইতিহাস জানার পর আপনার সংক্রমণ ক্লামাইডিয়াজনিত কি না তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার নিচের যেকোনো পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারেঃ
রক্ত পরীক্ষাঃ আপনার শরীর কেমন আছে তা জানার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার হাত, বাহু, অথবা কনুইয়ের ভাঁজের রক্তনালী থেকে রক্ত নেয়া যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে। একবারের বেশি রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
মূত্রনালীর রস পরীক্ষাঃ একে ইউরেথ্রাল ফ্লুইড টেস্ট বলে। এ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর মধ্যে একটা কটন সোয়াব দিয়ে রস সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই রস মাইক্রোস্কপের নিচে রেখে দেখা হয় কোনো রক্তের শ্বেত কণিকা অথবা জীবাণু রয়েছে কি না। যদি জীবাণু থাকে তাহলে বলা সম্ভব হয় সেটা কোন ধরনের জীবাণু।
প্রস্রাব পরীক্ষাঃ অন্তত এক ঘণ্টা প্রস্রাব ধরে রাখার পর প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। এরপর বিশেষ পরীক্ষার জন্য প্রস্রাব পাঠানো হয়। দেখা হয় রক্তের শ্বেত কণিকা অথবা জীবাণু রয়েছে কি না।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের চিকিৎসা করা হয়?
চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার উপসর্গ কমে যেতে পারে। যদি জীবাণুর কারণে সংক্রমণ ঘটে তাহলে অ্যান্টিবায়েটিক দিলে উপকার পাওয়া যায়। কিছু পুরুষের চিকিৎসা ছাড়াই অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের উপসর্গ চলে যায়। যদি এমনটি ঘটে তাহলেও চিকিৎসা করতে হবে। কারণ, তখনও আপনার মধ্যে জীবাণু অবস্থান করে যা আপনার মাধ্যমে অন্যের মধ্যে ছড়াতে পারে। মূত্রনালীর প্রদাহ প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনার এবং আপনার যৌন সঙ্গিনীর দু’জনেরই চিকিৎসা করাতে হবে। যদি আঘাতজনিত কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ হয় তাহলে দৈনিক কমপক্ষে দু’বার ১৫ মিনিট করে হট বাথ নেবেন।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
যৌন মিলনের সময় সর্বদা কনডম ব্যবহার করবেন। সঠিকভাবে কনডম পরবেন।
মূত্রনালীর প্রদাহ রয়েছে এমন কারো সঙ্গে যৌন মিলন করবেন না।
যদি আপনি মূত্রনালীর প্রদাহের জন্য চিকিৎসা নিতে থাকেন, তাহলে চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করবেন না। এমনকি কনডম পরেও না। আপনার যৌন সঙ্গিনীকেও একই সাথে চিকিৎসা করাবেন। তার কোনো উপসর্গ না থাকলেও।
আপনার স্ত্রী গর্ভবতী হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন আপনি তার সাথেও যৌন মিলন করতে পারবেন কি না। কারণ আপনি তার মধ্যে জীবাণু ছড়াতে পারেন। কিছু জীবাণু জন্মের সময় শিশুর মধ্যে যেতে পারে।
———————–
ডা. মিজানুর রহমান
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে নন-স্পেসিফিক ইউরেথ্রাইটিস। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মূত্রনালীতে প্রদাহ হয় অথবা মূত্রনালী ফুলে যায়। যেসব পুরুষ যত্রতত্র যৌন ক্রিয়া করে এবং যে পুরুষের একাধিক যৌন সঙ্গিনী রয়েছে তাদের এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের কারণ কী?
কিছু জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অথবা ছত্রাক দ্বারা অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্লামাইডিয়া মাইকোপ্লাজমা এবং হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস। একই সময়ে একাধিক জীবাণু আপনার মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে আপনি এ সংক্রমণে সংক্রমিত হতে পারেন। যৌন সঙ্গমকে তখনই অরক্ষিত বলা হয় যখন কনডম ব্যবহার করা হয় না। আপনার যৌন সঙ্গিনীর গোসলের সাবান, শুক্রনাশক পদার্থ এবং যোনির রাসায়নিক উপাদানের দ্বারাও আপনার মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে। এসব দ্রব্য আপনার মূত্রনালীতে ঢুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং মূত্রনালী ফুলে যায়। কোনো বস্তু দ্বারা আঘাত অথবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে অথবা চিকিৎসাজনিত অবস্থা যেমন স্টিভেনস-জনসন সিনড্রোম মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে।
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের উপসর্গগুলো কী?
অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহে অনেক সময় আপনার কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে, অথবা আপনার নিচের যেকোনো উপসর্গ থাকতে পারেঃ
সাধারণের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাবের অনুভূতি হওয়া। জ্বর, পেটে ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া করা, লিঙ্গে ব্যথা অথবা চুলকানি, যৌন সঙ্গমের সময় ব্যথা করা, লিঙ্গ দিয়ে পাতলা ও সামান্য ঘোলা অথবা হলুদ-সবুজ রস নিঃসৃত হওয়া।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ নির্ণয় করা হয়?
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন। আপনার যৌন সঙ্গিনীর ব্যাপারেও জানতে চাইতে পারেন। আপনার যৌন ইতিহাস জানার পর আপনার সংক্রমণ ক্লামাইডিয়াজনিত কি না তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার নিচের যেকোনো পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারেঃ
রক্ত পরীক্ষাঃ আপনার শরীর কেমন আছে তা জানার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার হাত, বাহু, অথবা কনুইয়ের ভাঁজের রক্তনালী থেকে রক্ত নেয়া যেতে পারে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে। একবারের বেশি রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
মূত্রনালীর রস পরীক্ষাঃ একে ইউরেথ্রাল ফ্লুইড টেস্ট বলে। এ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর মধ্যে একটা কটন সোয়াব দিয়ে রস সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই রস মাইক্রোস্কপের নিচে রেখে দেখা হয় কোনো রক্তের শ্বেত কণিকা অথবা জীবাণু রয়েছে কি না। যদি জীবাণু থাকে তাহলে বলা সম্ভব হয় সেটা কোন ধরনের জীবাণু।
প্রস্রাব পরীক্ষাঃ অন্তত এক ঘণ্টা প্রস্রাব ধরে রাখার পর প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। এরপর বিশেষ পরীক্ষার জন্য প্রস্রাব পাঠানো হয়। দেখা হয় রক্তের শ্বেত কণিকা অথবা জীবাণু রয়েছে কি না।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের চিকিৎসা করা হয়?
চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার উপসর্গ কমে যেতে পারে। যদি জীবাণুর কারণে সংক্রমণ ঘটে তাহলে অ্যান্টিবায়েটিক দিলে উপকার পাওয়া যায়। কিছু পুরুষের চিকিৎসা ছাড়াই অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহের উপসর্গ চলে যায়। যদি এমনটি ঘটে তাহলেও চিকিৎসা করতে হবে। কারণ, তখনও আপনার মধ্যে জীবাণু অবস্থান করে যা আপনার মাধ্যমে অন্যের মধ্যে ছড়াতে পারে। মূত্রনালীর প্রদাহ প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনার এবং আপনার যৌন সঙ্গিনীর দু’জনেরই চিকিৎসা করাতে হবে। যদি আঘাতজনিত কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ হয় তাহলে দৈনিক কমপক্ষে দু’বার ১৫ মিনিট করে হট বাথ নেবেন।
কিভাবে অনির্দিষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
যৌন মিলনের সময় সর্বদা কনডম ব্যবহার করবেন। সঠিকভাবে কনডম পরবেন।
মূত্রনালীর প্রদাহ রয়েছে এমন কারো সঙ্গে যৌন মিলন করবেন না।
যদি আপনি মূত্রনালীর প্রদাহের জন্য চিকিৎসা নিতে থাকেন, তাহলে চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করবেন না। এমনকি কনডম পরেও না। আপনার যৌন সঙ্গিনীকেও একই সাথে চিকিৎসা করাবেন। তার কোনো উপসর্গ না থাকলেও।
আপনার স্ত্রী গর্ভবতী হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন আপনি তার সাথেও যৌন মিলন করতে পারবেন কি না। কারণ আপনি তার মধ্যে জীবাণু ছড়াতে পারেন। কিছু জীবাণু জন্মের সময় শিশুর মধ্যে যেতে পারে।
———————–
ডা. মিজানুর রহমান