Header Ads

Protecting child health immunization - শিশুর স্বাস্হ্য রক্ষায় টিকা

শিশুরা আগামীদিনে জাতির কর্ণধার। দেশকে দক্ষ জনসম্পদে সমৃদ্ধ করতে হলে শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সহজেই বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ধনুষ্টংকার, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, পোলিও, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া প্রভৃতি সংক্রামক ব্যাধিতে আমাদের দেশে হাজার হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে। সময়মত টিকা প্রদানের মাধ্যমে এসব মারাত্মক রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলমান টিকাদান কর্মসুচির ফলস্বরুপ আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটা কমে এলেও শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তাই শিশুকে সময়মত টিকা দেয়ার ব্যাপারে সকলের সচেতনতা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।

আমাদের দেশে শিশুকে ধনুষ্টংকার, ডিফথেরিয়া, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, পোলিও, হাম এবং হেপাটাইটিস-বি নামক সাতটি মারাত্মক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিনামুল্যে পাঁচ ধরনের টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। শিশুকে সব টিকা দেয়ার জন্য জন্মের এক বছর বয়সের মধ্যে মোট চারবার সরকারি বা বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। প্রথমবার শিশুর দেড় মাস বয়সে যক্ষ্মা প্রতিরোধক বিসিজি টিকা এবং ডিপিটি, পোলিও এবং হেপাটাইটিস-বি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হবে। দ্বিতীয়বার শিশুর আড়াই মাস বয়সে ডিপিটি, পোলিও এবং হেপাটাইটিস-বি টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করতে হবে। তৃতীয়বার শিশুর সাড়ে তিন মাস বয়সে ডিপিটি, পোলিও এবং হেপাটাইটিস-বি টিকার তৃতীয় ডোজ প্রদান করতে হবে। চতুর্থবার শিশুর বয়স নয় মাস পুর্ণ হলে পোলিও টিকার চতুর্থ ডোজ এবং হামের টিকা দিতে হবে। এ সময় শিশুকে একটি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলও খাওয়ানো হয়ে থাকে। অনেকে এটিকে ষষ্ঠ টিকা হিসেবে গণ্য করে থাকেন।

শিশুরা একটি জাতির সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ সম্পদ। আজ যারা শিশু তাদের যদি আমরা যত্মসহকারে, সুস্হ-সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে তারা এ দেশের একেকজন আদর্শ, দক্ষ ও সুযোগ্য নাগরিকে পরিণত হবে। তারাই অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে। শিশুদের চাহিদা এবং তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পুর্বে উল্লিখিত টিকা প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের সাতটি মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তাই শিশুদের যথাসময়ে প্রচলিত সাতটি রোগের টিকা প্রদান করতে হবে এবং অসুস্হ হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসার ব্যবস্হা করতে হবে।

দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডা. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান খান
জনস্বাস্হ্য ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রভাষকঃ কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
Powered by Blogger.