Nadia - নাদিয়া
নাদিয়ার প্রথম পরিচয় তিনি একজন
নৃত্যশিল্পী। তবে বর্তমান সময়ে সেই পরিচয়কে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন
পুরোদস্তুর অভিনয়শিল্পী। এছাড়া মডেলিং জগতেও রয়েছে নাদিয়ার পদচারণা। সকল
মাধ্যমেই সমানভাবে সফল এই শিল্পী। নাদিয়ার পুরো নাম নাদিয়া আহমেদ। নাটক,
নাচ, বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, কোরিওগ্রাফি, স্টেজ পারফর্মেন্স কোনটাতে নেই
নাদিয়া! মিডিয়ার সব শাখাতেই তার অবাধ যাতায়াত।
বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয়:
সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
নাদিয়া আহমেদ এর জন্মদিন ৩১ আগস্ট। নাদিয়ার পৈতৃক নিবাস পিরোজপুরে হলেও
তার জন্ম হয় ইরাকে। তার পিতার নাম নাজির আহমেদ এবং মাতার নাম আফরোজা আহমেদ।
দুই বোনের মধ্যে নাদিয়া বড়। ব্যক্তিগত জীবনে নাদিয়া আহমেদ নাট্যাভিনেতা
মনির খান শিমুল এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
ক্যারিয়ার:
নাদিয়া আহমেদ নৃত্য দিয়েই মিডিয়ায় পথ চলা শুরু করেন। প্রথমে শিশু একাডেমি
তারপর বাফাতে নৃত্যের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। বাফা থেকে নাদিয়া সাত
বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯৮৬ সালে বিটিভির শিশুমেলা নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টিভি
পর্দায় আগমন ঘটে নাদিয়ার। এরপর বিটিভির শিশুতোষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাদিয়া
হয়ে ওঠেন নিয়মিত এবং “লিটল স্টার” হিসেবে সম্মাননা অর্জন করেন।
এখানেই থেমে থাকা নায়। ১৯৯১ সালে নতুন
কুঁড়ির অভিনয় শাখায় অংশগ্রহণের সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভালবাসার জন্ম। আর
এই ভালবাসার থেকেই টিভি নাটকে অভিনয়। ১৯৯২ সালে বিটিভির সেসময়ের তুমুল
জনপ্রিয় ‘বার রকমের মানুষ’ ধারাবহিকের ‘বৈচি’ চরিত্রের মাধ্যমে অভিনেত্রী
নাদিয়া পরিচিতি পান। শিশুশিল্পী থেকে পরিণত শিল্পীতে রূপান্তরিত হন। সেই
থেকে টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয়। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত ‘ছায়কায়া’,
‘দৃষ্টিদান’, ‘মধ্যবর্তী’, ‘প্রজাপতি মন’, ‘ইট কাঠের খাঁচা’, ‘অগ্নিগিরি’,
‘অধ্যাপক’, ‘শেষের রাত্রি’ প্রভৃতি নাটকে নাদিয়ার অভিনয় দর্শক নন্দিত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘নন্দিনী’ ধারাবাহিকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক
প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয়:
নাদিয়া যখন ক্লাস ক্লাস সিক্সে পড়েন তখন এলিগেন্টস্ সোয়েটারের বিজ্ঞাপনে
মডেলিং করেন। এটিই তার প্রথম বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয়। পরবর্তীতে পন্ডস এবং
ওয়ালটনের বিজ্ঞাপন অভিনয় করে এ অঙ্গনে তার অবস্থান তুলে ধরেন। গড়ে তোলে
তার অবস্থান।
নাদিয়ার নাচের স্কুল:
নৃত্যশিল্পী নাদিয়া ও লিখন জুটি ব্যক্তিগত জীবনে একে অপরের বেশ ভালো
বন্ধু। দুজন মিলে ঢাকার রামপুরায় ‘নৃত্যকথা’ নামে একটি নাচের স্কুল
প্রতিষ্ঠা করেছেন। একেবারে কম বয়সী শিশুদের নাচের প্রশিক্ষন দিচ্ছেন তারা।