Mir sabbir - মীর সাব্বির
বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং
নির্মাতা মীর সাব্বির। অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করলেও তিনি বর্তমানে
নির্মাতা হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। তাঁর স্ত্রীর নাম ফারজানা চুমকি।
বরিশালের মীর সাব্বির তখন সবে শৈশবের আড়মোড়া ভেঙে পা রেখেছেন কৈশোরে। মীর সাব্বিরের সবটুকু মনোযোগ তখন লেখালেখি আর গানের প্র
তি। মা গান করেন।
সপ্তাহান্তে পরিবারে গান, কবিতার উপলক্ষ তার মনে একটা নরম জায়গা সৃষ্টি করে
দিল। যে টানে পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকায় ছুটে এলেন। মনোযোগ দিলেন আবৃত্তি
চর্চায়। আবৃত্তির জন্য প্রতিদিন বনানী থেকে টিএসসিতে আসতেন, এভাবেই বছর
দুয়েক অতিবাহিত হয়। পরে ১৯৯৬ সালের দিকে বিটিভিতে শিল্পী হিসেবে
তালিকাভুক্ত হন।
অভিনয় জগতে প্রবেশ
বরিশালের মীর সাব্বির তখন সবে শৈশবের আড়মোড়া ভেঙে পা রেখেছেন কৈশোরে। মীর সাব্বিরের সবটুকু মনোযোগ তখন লেখালেখি আর গানের প্র
২০০০ সাল পর্যন্ত সময়টা মীর সাব্বিরের মনে গেঁথে থাকবে আজীবন। বিভিন্ন
নাটকের ইউনিটে ধরনা দেওয়া, বহু কষ্টের পর ছোটখাটো কোনো চরিত্রে অভিনয়ের
সুযোগ পাওয়া অথবা বিটিভিতে পড়ে থাকা দিনের পর দিন। সময়টা আসলেই এক ধরনের
'নৃশংস'ই ছিল। তবে জীবনে সবচেয়ে বড় সুযোগটা এসেছিল ২০০২ সালে। অনন্ত হীরার
'বিষকাঁটা' নামে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল একুশে টিভিতে। এ নাটকে মীর
সাব্বিরের চরিত্রের নাম ছিল 'আক্কাস'। নাটকটি কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেটা
বলতে যাওয়ার চেয়ে বরং বলা ভালো, 'আক্কাস'ই মীর সাব্বিরকে মিডিয়ায় বড় একটা
জায়গা করে দেয়।
অভিনীত নাটক
১২ বছরের অভিনয় জীবনে মীর সাব্বির অনেক গুলো নাটকে অভিনয় করেছেন এ সবের
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো‘পুত্র’, ‘কদম চোরা’, ‘মকবুল’, ‘কাঁচা গাব পাকা গাব’,
‘সুমন রাজন মোহন’, ‘আলাল দুলাল’, ‘ছায়াঘাতক’, ‘কেমন আছো বন্ধু’, ‘আয় ফিরে
তোর প্রাণের বারান্দায়, ‘বরিশাল বনাম নোয়াখালী’, ‘বরিশাল বনাম নোয়াখালী
শুভবিবাহ’, ‘নন্দিনী’, ‘সবুজ নক্ষত্র’, ‘ধুপছায়া’, ‘গল্প’, ‘প্রজাপতি মন’,
‘জোড়া শালিক’ ‘ট্যুরিস্ট’ প্রভৃতি। এছাড়াও তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক
স্ক্যান্ডাল ও টো টো কোম্পানি, নিশিগন্ধা, গ্রেট মিসটেক, স্বপ্ন লন্ডন।
মীর সাব্বিরের প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রযোজিত ‘কাল
পুরুষ’। এটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিলো ১৯৯৯ সালে। মীর সাব্বির অভিনীত
প্রথম নাটক ছিলো নূর মোহাম্মদ খান পরিচালিত ‘পুত্র’। মীর সাব্বির পরিচালিত
প্রথম নাটক ‘বরিশাল বনাম নোয়াখালী’ এবং পরিচালিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক
‘মকবুল’।